ফ্রিলান্সিং আর ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মধ্যে পার্থক্য কী?

 ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং দুটি বিভিন্ন ক্ষেত্র, তবে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে



  1. কাজের ধরণ:

    • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে বলে এবং অনলাইনে প্রচার এবং বিপণিতে উপস্থিতি তৈরি করতে হয়। এটি আপনির কাজ হয়ে সম্প্রদান অধিক সময় প্রয়োজন করতে পারে এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া বিপণি, ইমেল মার্কেটিং ইত্যাদি নিয়ে হতে পারে।
  2. ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি নিজের কাজ সম্পাদন করতে বলে প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেন না, বরং একটি প্রকল্পে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী একটি ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে মেলাচ্ছেন। এটি অধিকাংশই স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়।

  3. কাজের স্থান:

    • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং কাজ অনুমোদন দেওয়া হতে স্বাধীন স্থানে করা যায়, অর্থাৎ আপনি যেখানে চান সেখানে কাজ করতে পারেন, আপনির জনপ্রিয়তা অনুযায়ী এবং আপনির কাজের ধরণ দেখায়।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: এটি প্রধানত অনলাইন ভিত্তিক কাজ এবং এটি সাধারিত করে অফিসে থাকা সম্প্রদানস্য হতে পারে, তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে দূরবর্তী কাজ করা হতে পারে।
  4. সময়ের ব্যবহার:

    • ফ্রিল্যান্সিং: এটি অনেকটাই আপনার সময় নিজের দিকে নিতে পারে, তারপরে এটি আপনার দিকের দিকে একই সময় নিতে পারে।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: এটি সাধারিতভাবে নিজের কাজে এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে হতে পারে, এবং এটি সময় বিনিয়োগ করতে হতে পারে অনেক বেশি।
  5. পেমেন্ট সম্পর্কে:

    • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং একক প্রকল্পে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে মৌখিক অথবা লেখিত চুক্তি করেন এবং কাজ সম্পাদন হলে মৌখিক অথবা অনুমোদিত পদ্ধতিতে পেমেন্ট প্রাপ্ত করেন।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করতে আপনি প্রতিষ্ঠানের একটি সদস্য হিসেবে চুক্তি করতে পারেন অথবা নিজে একটি মার্কেটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং পেমেন্ট প্রাপ্ত করতে সময় লাগতে পারে।

এগুলি হলো কিছু মৌলিক পার্থক্য, তবে এই দুটি ক্ষেত্রই আপনার দক্ষতা, আগ্রহ, এবং পছন্দমত উপাধি অনুসারে বিচার করতে হবে।

  1. কাজের সুযোগ:

    • ফ্রিল্যান্সিং: এটি একজন নিজের কাজ নির্বাচন করতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়াভাবে কাজ করতে পারে। এটি একজন নিজের নানা ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারে এবং প্রজেক্ট-ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ থাকে।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: অন্যদিকে, ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানিগুলি বা এজেন্সিগুলি সাধারিতভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে, এটি সাধারিতভাবে নিয়োজিত করা হয়ে থাকে এবং অনুমোদিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
  2. কাজের প্রকার:

    • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং ভিত্তিক কাজগুলি ভার্চুয়াল, একক প্রজেক্ট-ভিত্তিত এবং সময়-সীমানুসারে। এটি কাজের জন্য প্রস্তুতি করতে এবং বাসা থেকে কাজ করতে সাহায্য করে।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং হলো কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের জন্য অস্থায়ী বা স্থিতিশীল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তৈরি করার জন্য একটি প্রক্রিয়া, যা সাধারিতভাবে একটি কোম্পানির ইনহাউস টিম অথবা একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।
  3. মার্কেটিং কাজের লক্ষ্য:

    • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং একজন ইন্ডিভিজুয়াল কাজে লক্ষ্য করতে পারে এবং প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তার নিজের স্বয়ংক্রিয়া আছে।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি ব্যবসায়িক মাধ্যমে উন্নত মার্কেটিং রয়েছে, এবং এটি সাধারিতভাবে বড় প্রস্তুতি নেয় এবং স্থায়ী মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে সহায়ক।
  4. যোগাযোগ:

    • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সাররা সাধারিতভাবে নিজেদের ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং এক থেকে এক প্রজেক্টের জন্য চুক্তি করে।
    • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানিরা সাধারিতভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়তে চেষ্টা করে এবং প্রস্তুতি নেয় ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয় মার্কেটিং সৃষ্টি করতে।
      1. কাজের সৃষ্টি এবং অবসান:

        • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং মূলত প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজের জন্য একটি কর্মী অথবা কৌশল বিশেষজ্ঞকে বা কোম্পানিকে ভাড়া করে কাজ করা। এই কাজে প্রজেক্ট শেষ হলে সে ফ্রিল্যান্সার অন্তর্ভুক্ত কোনও কোম্পানিতে অথবা অন্য কোনও প্রজেক্টে কাজ করতে পারে।
        • ডিজিটাল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারিতভাবে একটি কোম্পানি বা ব্যক্তির পণ্য অথবা সেবা বিপর্যয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার এবং বিপণিতে আগত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারিতভাবে একটি স্ট্রাটেজি মার্কেটিং প্রক্রিয়া।
      2. কাজের ধরণ এবং দক্ষতা:

        • ফ্রিল্যান্সিং: এখানে কাজের ধরণ ভিন্ন হতে পারে, এবং এটি আপনার প্রতিষ্ঠানিত কৌশলগুলি এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করতে পারে।
        • ডিজিটাল মার্কেটিং: এটি প্রায় সব অনলাইন মার্কেটার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য, এবং এটি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন করে, যেমন SEO, SEM, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, এবং আরও অনেক।
      3. কাজের স্থান এবং সময় ব্যবহার:

        • ফ্রিল্যান্সিং: এটি আপনাকে একটি স্থায়ী কাজে সীমিত করতে সহায় করে এবং আপনি আপনার সময় এবং অবস্থানে বিচার করতে পারেন।
        • ডিজিটাল মার্কেটিং: এটি সাধারিতভাবে একটি পূর্ণসম্পূর্ণ অফিস এবং নির্দিষ্ট সময়ে একটি কাজের আবশ্যকতা তৈরি করে, তার প্রযোজনীয় সৃষ্টির জন্য।
      4. আদান-প্রদান ও সম্পর্ক:

        • ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সার সাধারিতভাবে একটি প্রকল্পে একবার কাজ করতে বলা হয় এবং প্রজেক্ট শেষ হলে সে অন্য প্রজেক্টে কাজ করতে বলা হয় না।
        • ডিজিটাল মার্কেটিং: এটি সাধারিতভাবে একটি স্থায়ী অফিস চাইতে পারে, এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পরস্পরে সহযোগিতা এবং পর্সোনাল সম্পর্ক গড়াতে সাহায্য করতে পারে।
      5. ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং দুটি বিভিন্ন ক্ষেত্র, তাদের লক্ষ্য এবং কাজের সুযোগগুলি দেখে একে অপরকে ভিন্ন করা হয়ে থাকে।

        ফ্রিল্যান্সিং:

        1. কাজের স্বাধীনতা: ফ্রিল্যান্সিং একটি কর্মী ও ক্লায়েন্ট মধ্যে একটি সীমাহীন সম্পর্কের ভিত্তিতে ঘটতে থাকে, এবং কর্মী স্বাধীনভাবে তার নিজের কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারে।
        2. বিভিন্ন ক্লায়েন্ট সেবার অভিজ্ঞতা: ফ্রিল্যান্সাররা একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারে এবং তাদের প্রতি বিভিন্ন প্রকারের প্রজুক্তি অর্জন করতে পারে।
        3. মৌলিক দক্ষতা: একজন ফ্রিল্যান্সার সাধারণভাবে একাধিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং বিভিন্ন প্রকল্পে মান তৈরি করতে পারে।

        ডিজিটাল মার্কেটিং:

        1. মাধ্যম এবং লক্ষ্যগুলির প্রতি মনোনিবেশ: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য হলো উপভোগকারীদের সাথে যোগাযোগ করা এবং তাদেরকে পণ্য বা সেবা কেনার দিকে প্রবৃদ্ধি করা।
        2. মার্কেটিং টুলস এবং অ্যানালিটিক্স: ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা এবং অ্যানালিটিক্স টুলস ব্যবহার করে মার্কেটাররা মার্কেট প্রচার এবং প্রভাবমূলকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে।
        3. সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার: ডিজিটাল মার্কেটিং এ সোশ্যাল মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচার সাধারণ। এটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে লক্ষ্যকান্ডে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

        এই ভিন্নতা গুলি দেখে তাদের একই সময়ে কাজ করা সহজ নয় হতে পারে, কিন্তু একাধিক ব্যক্তিরা এই দুটি ক্ষেত্রেই সফলভাবে কাজ করতে পারে।

      6. ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং দুটি বিভিন্ন ক্ষেত্র, কিন্তু এই দুটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সম্পৃক্ত থাকতে পারে এবং এদের সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হতে পারে।

        ফ্রিল্যান্সিং:

        • ফ্রিল্যান্সিং হলো নিয়োজিত হওয়ার বজায় স্বনিয়ন্ত্রে কাজ করা, অন্যদের জন্য প্রযোজ্যমান দক্ষতা এবং সেবা প্রদান করার একটি উপায়।
        • এটি আপনি যে কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন, যেমন লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং, ট্রান্সলেশন, আডিও/ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
        • আপনি আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন এবং আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারেন এবং কোথাও বা কেউ নিয়োজিত করতে হতে পারে না।

        ডিজিটাল মার্কেটিং:

        • ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট বা অনলাইনে পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য বিভিন্ন সাধনার ব্যবস্থা ব্যবহার করা।
        • এটি একটি ব্যবসায়িকে অনলাইনে প্রচার করতে সাহায্য করতে সম্পৃক্ত হয়, যাতে ব্যবসার দারিদ্র্য বাড়াতে এবং লক্ষণীয় ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারে।
        • ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযোজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), ইমেইল মার্কেটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদির মধ্যে বিভিন্ন সাধনার ব্যবস্থা ব্যবহার করে।

        এই দুটি ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে পার্থক্য তাদের কাজের প্রকৃতি, কাজের স্বাধীনতা, এবং সম্পর্কিত দক্ষতা এবং সাধারণভাবে উপার্জনে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে অনুমতি দেয়, আর ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়িকে অনলাইনে দৃষ্টিগোচর করতে সাহায্য করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post